মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ অপরাহ্ন
হেলাল উদ্দিন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
চলতি বছরে ৬ দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উল্লাপাড়ার কৃষকদের। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শীতকালীন সবজি চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে শস্য ভাণ্ডার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চাষিরা। মাঠে মাঠে শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেত সবুজে ভরে গেছে। ইতিমধ্যে অনেক মাঠের আগাম সবজি বাজারে এসেছে। আগাম সবজি বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছে কৃষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলায় এবার শীতকালীন সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে আলু বেগুন, কপি,আর ক্ষিরা। পাশাপাশি অন্য সবজিও চাষাবাদ হয়েছে। মোটা দাগে বেগুন ড় ক্ষিরা আর আলু চাষে এ উপজেলার কৃষক প্রতি বছর বাড়তি আয় করে থাকে। তবে এ বছর ৬ দফা বন্যায় কৃষকদের সবজি চাষাবাদে ছন্দপতন ঘটেছে। প্রতি বছর এ সময় বাজারে
উল্লাপাড়ার ক্ষিরা, আলুসহ অন্য সবজি পাওয়া গেলেও এবার তা মিলছে না। এতে তারা প্রতি বছরের ন্যায় তেমন বাড়তি লাভ করতে পারেনি। উল্লাপাড়া উপজেলায় এ বছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু, ২৪০ হেক্টর জমিতে ক্ষিরা চাষাবাদ হয়েছে। এর বাইরে মুলা, ফুলকপি, শসা, বাঁধা কপি, বেগুন, টমেটো, গাজর, লাউ, শিম, পটলসহ নানা ধরনের সবজি চাষাবাদ হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা দিনরাত সবজির মাঠে কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে সবুজে ভরে উঠছে
মাঠের পর মাঠ সবজি ক্ষেত। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিরামহীন পরিশ্রম করছে কৃষকরা। উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নে রতনদিয়ার মাঠে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা পুরোদমে সবজি চাষাবাদে ব্যস্ত রয়েছে। এ মাঠে আগাম ক্ষিরা গাছগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। অনেক গাছে ফুল ধরেছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ক্ষিরা তুলে বাজারে বিক্রি করা যাবে। কয়ড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানালেন, তার এ বছর প্রায় ৩ বিঘা জমিতে ক্ষিরা
চাষাবাদ করেছে। এর বাইরে আরো কয়েক বিঘা জমিতে নানা ধরনের সবজি চাষাবাদও করেছে। ইতিমধ্যে তাদের ক্ষিরা গাছে ফুল ধরেছে। সপ্তাহ খানেক পরেই ক্ষিরা তুলে বিক্রি করা যাবে। আগাম ক্ষিরা বিক্রি করে প্রতিবারের ন্যায় এবারো তারা লাভের আশা করছে। উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, বন্যার কারণে এবার শীতকালীন সবজিসহ কৃষি চাষাবাদে প্রভাব ফেলেছে। বন্যার পানি
নেমে যাওয়ার পর পর আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি উঠবে। আশা করছি কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।